রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লাইন বিস্ফারণে নারী ও শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনের ৫ তলা ভবনের নিচ তলায় হঠাৎ করেই আগুন ধরে যায় গ্যাসের লাইনের রাইজারে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘটে বিস্ফোরণ। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুহূর্তে ভবনটির মূল দরজা দুমড়ে মুচড়ে যায়। দরজা জানালার কাচ ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ধসে পড়ে নিচতলার কক্ষের দেয়াল। এক পলকেই সাজানো গোছানো ঘর পুড়ে ছারখার। ৫ বছরের শিশু নওশীন’সহ দগ্ধ হয় সাতজন।
বাড়ির মালিক জানান, ভবনের গ্যাস লাইনে ক’দিন ধরেই সমস্যা দেখা দেয়। বেশ কয়েকবার মিস্ত্রি দিয়ে মেরামত করা হলেও পুরোপুরি তা সারেনি। বুধবার রাত এগারোটার পর আবারও মিস্ত্রি আসে গ্যাস সংযোগ মেরামতের জন্য। কাজ শেষে কোনো লিকেজ আছে কিনা খতিয়ে দেখতে, মিস্ত্রি দেশলাই দিয়ে আগুন জ্বালালেই ঘটে বিস্ফোরণ।
জানা যায়, দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিটিউটে নেয়া হয়। আহতদের চারজনই আছেন আইসিইউ’তে।
পল্লবী থানার এসআই নাসির উদ্দিন জানান, কয়েকদিন ওই বাড়িতে গ্যাস ছিল না। আজ রাতে লাইনে হঠাৎ গ্যাসের চাপ বেড়ে যায়। এ সময় বাড়ির মালিকসহ নিজেরাই গ্যাস রাইজার পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ করে সেটা বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে সাতজন দগ্ধ হন। পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, গ্যাস লিকেজের কারণে বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও তদন্তের পরই জানা যাবে এর প্রকৃত কারণ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তিতাসের গ্যাস লাইনের কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। দু’ঘণ্টা পর তিতাস গ্যাসের কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান।
খুলনা গেজেট/কেএম