সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ট্রলার নিয়ে টেকনাফে ফেরার পথে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে আলী জোহার নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রলারের বাকিরা অক্ষত আছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৫ টায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের শাহপরীর দ্বীপের কাছে এই ঘটনা ঘটে। আহত আলী জোহার বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত আলী জোহার উখিয়ার রোহিঙ্গা ৩ নম্বর ক্যাম্পের জি-৮৪ ব্লকের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তিনি ভবনের কাজ করার জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একমাস পর ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
আলী জোহার জানান, বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন থেকে চারটি ট্রলারে করে দ্বীপে আটকা পড়া লোকজনকে নিয়ে আসা হয় টেকনাফে। কিন্তু আটকা পড়া তারা সবাই সেই ট্রলারগুলোতে উঠতে পারেননি। পরে ২৫ থেকে ৩০ জন একজোট হয়ে একটি কাঠের ট্রলার ভাড়া করে রওনা দেন। শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাশ থেকে কূলে উঠার কথা থাকলেও ট্রলারের মাঝি সেটা না মেনে তাদেরকে নিয়ে শাহপরীর দ্বীপের পূর্বপাশের ঘাটের দিকে। ওই সময় মিয়ানমার থেকে দুটি ট্রলার বের হয়ে সীমানার কাছাকাছি এসে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। সেই গুলি এসে লাগে তার ডান পায়ে।
আলী জোহার জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে ট্রলারের অন্যান্যরা তাকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি জানান, বৃহস্পতিবার বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমেদের মালিকানাধীন ৪টি ট্রলারে করে প্রায় ২৫০ জন মানুষ এসেছিল। ওই ট্রলারগুলোতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এরপর প্রশাসনকে না জানিয়ে কেউ এসে থাকলে সেটা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটের নাফ নদীতে ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে একের পর এক গুলি ছোঁড়ার কারণে বন্ধ রয়েছে ট্রলার চলাচল। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইলে ৪টি ট্রলারে করে দ্বীপের বাসিন্দারা যাতায়াত করে।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে পণ্যবাহী জাহাজ গেছে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে। সেই জাহাজে করে গেছে দ্বীপের বাসিন্দা ও সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।
খুলনা গেজেট/এএজে