পাকিস্তান জামানায় গভর্ণর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন শাসনামলে শিল্প শহর খালিশপুরে স্থাপিত ক্রিসেন্ট জুট মিলস ইজারা পাচ্ছে না ফুলতলার মিমো জুট। শর্ত ভঙ্গ করায় পাট মন্ত্রনালয় মিমো জুটকে ইজারা দিচ্ছে না। ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে এ মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
বিজেএমসির সূত্র বলেছেন, সরকারের প্রতিশ্রুতির আলোকে ৯৯ বছরের ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২১ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। ফুলতলার মিমো জুট দরপত্র জমা দেয়। প্রতি মাসে ৮০ লাখ টাকা ভাড়া হিসেবে দু’ বছরের অগ্রিম প্রদানের শর্তে পাট মন্ত্রনালয়ের সাথে চুক্তি হয়।
বিজেএমসির খুলনাস্থ আঞ্চলিক প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ গোলাম রাব্বানী প্রতিবেদককে জানান, চুক্তির শর্তে ২ বছরের ভাড়া বাবদ ২১ কোটি টাকা অগ্রিম জমা দেয়ার বিধান রাখা হয়। মিমো জুট ১ কোটি টাকা জমা দিয়ে বাকি টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হয়। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় পাট মন্ত্রনালয় মিমো জুটকে ইজারা দিচ্ছে না। ফলে ক্রিসেন্ট জুট মিল চালু হওয়ার প্রক্রিয়া আপততঃ থেমে গেল।
এ সূত্র বলেছেন, প্লাটিনাম জুট মিলস ইজারা নিতে ভারতের মোহন জুট লিঃ ও ফরচ্যুন সুজ লিঃ দরপত্র জমা দেয়। দু’ বছরের ভাড়া বাবদ ১০ কোটি টাকা অগ্রিম জমা দেয়ার শর্তে ফরচ্যুন লিঃ এর সাথে মন্ত্রনালয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।আগামী অক্টোবরের মধ্যে টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। টাকা জমা দেয়ার শেষে মিলটি ইজারা গ্রহিতার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাট মন্ত্রনালয় সূত্র জানিয়েছেন, ক্রিসেন্ট জুট মিলের কাছে রূপালী ব্যাংকের শামস ভবন শাখার পাওনা বাবদ ৪৪৩ কোটি টাকা ইজারা প্রদানের পূর্বেই পরিশোধ করা হবে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও সদ্য স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১০৩ দশমিক ৩ একর জমির ওপর ১৯৫২ সালে মিলটি স্থাপিত হয়। ১৯৫৪ সালের উৎপাদন শুরু হয়। আগাখান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, রেলী ব্রাদার্স লিঃ ও জেমস মেকলি এন্ড সন্স লিঃ যৌথ মালিকানায় মিলটি চালু হয়। ৪৯ শতাংশ মালিকানা ছিল সরকারের। রাষ্ট্রপতির এক আদেশে বেসরকারি এ মিলটি জাতীয়করণ করা হয়। ইপিআইডিসির সহযোগিতায় আগাখান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৫৪ সালে ৬৯ দশমিক ৪৪ একর জমির ওপর প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলস স্থাপন করে। ১৯৭২ সালে ২৬ মার্চ মিলটি জাতীয়করণ হয়।