বরগুনায় শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফকে হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাল কাপড়ে মুড়িয়ে মামলার রায়ের কপি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছানো হয়। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ থেকে এই ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়েছে।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক রায়ে নিহতের স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে চারজনকে খালাস দেয়। কোনো মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে তা অনুমোদনের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আকারে নথি পাঠানো হয়। এই আইন মেনে মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য বরগুনার আদালতের রায়টি হাইকোর্টে পৌছে দেন বরগুনা জেলা আদালতের জারিকারক জাহাঙ্গীর আলম পিকু।
গতবছর ২৬ জুন সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত রিফাতের পিতা আব্দুল আলিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আসামি করা হয়। মিন্নিকে গতবছর ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার করলেও হাইকোর্ট গতবছর ২৯ আগষ্ট এক রায়ে মিন্নির জামিন মঞ্জুর করেন। এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি ওই বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। ওই দিনই পুলিশ মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আসামিদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। তবে আপিল বিভাগ জামিন বহাল রাখায় মিন্নি গতবছর ৩ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান। এছাড়া হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত নয়ন বন্ড গত বছরের ২ জুলাই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এ কারণে তাকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়নি। এ মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের ক্ষেত্রে রায় দেওয়া হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন।
খুলনা গেজেট/এনএম