মহামারি করোনার থাবায় কাঁপছে গোটা ভারত। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। সেখানে আবার এই মুহূর্তে চলছে বিধানসভার নির্বাচন। তাই ভোটের মুখে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ধরনের ক্যাম্পেন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু জনসভা করার অনুমতি রয়েছে। তাও সর্বোচ্চ ৫০০ জন কর্মীর উপস্থিতিতে।
কিন্তু সেই বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠল সদ্য বিজেপিতে যোগ দেয়া তারকা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। কোভিড বিধি উপেক্ষা করেই অভিনেতা তিনি সভা করলেন মালদহের বৈষ্ণবনগর বিধানসভা এলাকায়। সেখানকার একটি ফুটবল মাঠে বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার সরকারের সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীর সভার অয়োজন করা হয়।
যদিও ৫০০ জন লোকেরই বসার ব্যবস্থা করা হয় সেখানে। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত হন বৈষ্ণবনগর মাঠে। করোনা পরিস্থিতিতে মালদহ জেলা যখন কাঁপছে, ঠিক সেই মুহুর্তে হাজার হাজার লোক নিয়ে এই সভা করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া মিঠুন চক্রবর্তীর এই জনসভা নির্বাচন কমিশনের আইনকে অমান্য করেছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা ।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা নাগাদ হেলিকপ্টারে করে সভাস্থলে নামেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই হেলিকপ্টার দেখতেও প্রচুর মানুষ ভিড় করে ওই ফুটবল মাঠে। এদিন সভার মঞ্চে মিঠুন চক্রবর্তীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, মালদহের বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার সরকার, মালদা জেলা বিজেপির সম্পাদক মনোজ কুমার মন্ডলসহ অনেকে।
এদিকে, এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর কেন্দ্রীয় নির্বাচন দপ্তরে এফআইআর করার নির্দেশ দেয়া হয় মালদহের জেলা শাসককে। সেই মতো মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বৈষ্ণবনগর থানাতে নির্বাচন বিধিভঙ্গের অভিযোগ মিঠুন ও বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
তবে এই অভিযোগ নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর তরফ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তিনি এ বছরই ভোট শুরুর কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদির বিগ্রেড সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। একসময় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য।
খুলনা গেজেট/ এস আই