অভিনয়ের শুরুর দিকে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। আজকের এই অবস্থানে আসতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। জানা যায়, প্রথম দিকে মিঠুনের চাইতে বেশি পারিশ্রমিক পেতেন তার মেকআপ আর্টিস্টরা!
১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন মিঠুন। প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার জেতেন তিনি। কিন্তু তাতেও খুব বেশি ভাগ্যবদল হয়নি অভিনেতার। ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ অভিনেতা জানান, ১৯৭৯ সালে যখন তিনি বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রেম বিবাহ’ ছবিতে অভিনয় করছেন। তখন তার চাইতেও বেশি আয় করত সেটের মেকআপ আর্টিস্ট ও হেয়ার স্টাইলিস্টরা।
এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন, ‘আমি ৫ হাজার টাকা পেয়েছিলাম অভিনয় করে। আমার সহায়ক শিল্পীরা ৭ হাজার পাঁচশো থেকে ৮ হাজার। তখন ৫ হাজার টাকা আমার কাছে ৫ কোটি টাকার সমান ছিল। পেয়িং গেস্ট হিসেবে মাসে ৭৫ টাকা দিতে হতো। একটা ট্রাউজার্স আর দুটো জামা ছিল আমার। কীভাবে যেন দুটো জুতো জোগাড় করেছিলাম।’
অতীতের সংগ্রামের দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে মিঠুন উল্লেখ করেছেন, ‘একজন পরিচালক বলেছিলেন, আমি যদি হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি, তিনি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেবেন। পরে অবশ্য তিনি আমায় নিয়ে ছবি করেন, হিট হয় সেটি। তবে তিনি যে আমায় একটা সময় অসম্মান করেছিলেন, আমারও খারাপ লেগেছিল, এটা আমি তাকে বুঝতে দিইনি।’ তবে সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ করেননি অভিনেতা।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে বাব্বর সুভাষ পরিচালিত ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবিটি মিঠুনকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা পাইয়ে দেয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আগামীতে তাকে সানি দেওল এবং সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘বাপ’ ছবিতে দেখা যাবে। মিঠুন চক্রবর্তীকে সর্বশেষ দেখা গেছে কলকাতার ব্যবসাসফল সিনেমা ‘প্রজাপতি’ ছবিতে। এতে দেবের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড