৭২ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এই দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই দুজনেই ফিফটি করেছেন। মাহমুদউল্লাহ এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৬৩ বলে, আর মিরাজের লেগেছে ১০৬ বল।
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান। ৫২ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মিরাজ। অপর অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ ৬৩ রান।
গত ম্যাচের মতো আজও বাংলাদেশ ভালো শুরু পায়। বিশেষ করে সৌম্য সরকার নতুন বলে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৮ ওভার ১ বলে দলীয় ফিফটি স্পর্শ করে বাংলাদেশ। এমন শুরুর পর আরো একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। ৯ম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন ওমরজাই। এই পেসারের ওভারের তৃতীয় বলে বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন সৌম্য। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
সৌম্য ফেরার পরের ওভারেই ফিরেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। এক প্রান্তে সৌম্য সাবলীল ব্যাটিং করলেও আরেক প্রান্তে বেশ ভুগেছেন তামিম। ইনিংসের প্রথম চার ওভারেই দুইবার জীবন পান তামিম। তারপরও ১৯ রানের বেশি করতে পারলেন না। ১০ম ওভারে মোহাম্মদ নবীকে কাভার–পয়েন্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ক্যাচ দেন তিনি।
তিন বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে দলের বিপদ আরো বাড়িয়েছেন জাকির। সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমে রান আউটের শিকার হয়েছেন তিনি। ৪ রান করে জাকির ফেরায় ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সমান ১১ রান করে এসেছিল তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার আজও ব্যর্থ হয়েছেন। এবার দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এই লেগির টার্ন করা বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন হৃদয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ৭ রান।
খুলনা গেজেট/এএজে