ঢাকার রাস্তায় মাস্কবিহীন পথচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করে একটি মাস্ক পরিয়ে দিলেন। পথচারী কিছু দূর গিয়ে মাস্কটি ফেলে দিয়ে আবার পথ চলতে শুরু করলেন। এটা গল্প নয়, খবর।
২. গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলে দপ্তরের সহকর্মীদের নিয়ে সভা করে ভয়াবহতা, করণীয় এবং নিজেদেরকে জাতির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করা লাগতে পারে বলে সতর্ক করেছিলাম। তখন থেকে দপ্তরের সকলে নিয়মিত এবং সার্বক্ষণিক মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলেছি।
৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় কাটিয়ে আমরা সচেতন হয়ে নিউ নরমাল জীবন (নতুন স্বাভাবিক জীবন) পার করছি। কিন্তু অনেকের মধ্যে এখনও সচেতনতা সৃষ্টি হয় নি অথবা তাঁরা পাত্তা দিচ্ছেন না।
৪. টিভি খুললেই প্রতিদিন ভ্যাকসিনের অগ্রগতির খবর পাচ্ছি। তবে মনে রাখা দরকার, রাতারাতি আমরা সকলকে ভ্যাকসিন পুশ করতে পারবো না। ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ, বিতরণ, অগ্রাধিকার ঠিক করা, সব মিলিয়ে স্বাভাবিকভাকে কিছুটা সময় পার হবেই।
৫. ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগেই কিছু বিশেষজ্ঞ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, হয়তো ৩/৪ মাস বা ২/৩ বছর পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা থাকতে পারে।
৬. প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলার মধ্যে স্মার্টনেস লুকিয়ে আছে। যতদিন পর্যন্ত না কার্যকর ভ্যাকসিন আমরা পাচ্ছি ততদিন মাস্ক পরার সাথে স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলবো। মাস্ক শুধু আমাদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করবে না, শীতকালে বাতাস ও ধূলোবাহিত অনেক রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখবে।
৭. জেল-জরিমানার ভয়ে নয়, নিজেকে এবং অপরকে সুরক্ষিত রাখতে আসুন সকলে যথাস্থানে মাস্ক ব্যবহার করি। আপাতত: মাস্কই হোক আমাদের ভ্যাকসিন। (ফেসবুক ওয়াল থেকে)
খুলনা গেজেট /এমএম