জানুয়ারীর শেষে আবারও আসছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক বার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ সময় তাপমাত্রা নামবে সর্বনিম্ন ১০ নিচে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকতে পারে শীত।
এদিকে ইতিমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। কিশোরগঞ্জ এবং নওগাঁ জেলাসহ উত্তরের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে চলমান এ শৈত্যপ্রবাহ আগামীকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ না চললেও কয়েক জেলায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
মাঘের তীব্র শীতের মাঝেই বৃষ্টির হানায় বিপর্যস্ত জনজীবন। দেশের কয়েক বিভাগের বেশকিছু জেলায় মাঝারি ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়ে স্কুল ও বরিশালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আবহাওয়ার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সারা দেশের কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামীকাল শুক্রবার ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পরদিন শনিবার কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
তবে আগামী দুদিনে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীত ও বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমেছে। চুয়াডাঙ্গায় সামান্য ও যশোরে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম