আফগানিস্তান থেকে বিভিন্ন দেশ সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পরেও জাতিসংঘের সংস্থাগুলো, সেখানে থেকে যাবার এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত।
তালিবান এখন দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে সেখানে কোন কেন্দ্রীয় সরকার নেই। জাতিসংঘ সংস্থাগুলির মতে এটি সমস্যাযুক্ত। তবে তারা এও বলেছে যে, তারা কয়েক দশক ধরে তালিবান এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সাথে কথা বলছে কিভাবে অভাবী মানুষকে সাহায্য করা যায়।
জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তরের মুখপাত্র জেন্স লার্ক বলেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন, সহায়তা সংস্থাগুলির অতীত অভিজ্ঞতার কারনে তাঁরা তাদের জীবন রক্ষাকারী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী চলে গেছে কিন্তু জাতিসংঘ সেখানে অবস্থান করছে, এবং আমরা থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সেটাই আমরা শুরু থেকে বলে এসেছি এবং সেটাই আমরা করছি। শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে যে আমরা এই বছর ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষকে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। সুতরাং, এ সংখ্যা প্রমাণ করে যে আমরা সেখানে থাকার জন্য আছি।
জাতিসংঘ এই বছর ১৬০ লক্ষ মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্য নিয়েছে, যার মধ্যে ৩৫ লক্ষ মানুষকে জোর করে তাদের ঘর থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ স্বীকার করে যে ঐ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ ১৩০ কোটি ডলারের মানবিক আবেদনের মাত্র ৩৯ শতাংশ তারা পেয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম