আবারও দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (২৪ জুলাই) গভীর রাতে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি তার পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে ওই দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
মূলত পরমাণু চালিত মার্কিন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নৌ ঘাঁটিতে এসে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া সোমবার গভীর রাতে তার পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। অন্যদিকে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও উত্তর কোরিয়ার দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছে।
মূলত উত্তর কোরিয়ার নিক্ষিপ্ত ওই দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রই জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়ে।
রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে মার্কিন কৌশলগত সামরিক সম্পদ মোতায়েনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ায় কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের এই ঘটনা ঘটল।
উত্তর কোরিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পরমাণু চালিত সাবমেরিন মোতায়েন পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শর্ত পূরণ করতে পারে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে মিত্রদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে, মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, পিয়ংইয়ংয়ের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ মার্কিন সেনা সদস্য এবং এই অঞ্চলে বা মার্কিন মিত্রদের জন্য কোনও তাৎক্ষণিক হুমকিও তৈরি করেনি।
এর আগে সোমবার পরমাণু চালিত মার্কিন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ দ্বীপ জেজুতে একটি নৌ ঘাঁটিতে প্রবেশ করে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে পরমাণু অস্ত্রযুক্ত মার্কিন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বন্দরে আসার পরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। ১৯৮১ সালের পর এটিই ছিল দক্ষিণের ভূখণ্ডে মার্কিনিদের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন পৌঁছানোর ঘটনা।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ