র্যাব এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে ঢাকা অসন্তুষ্ট। এই অসন্তোষের কথা জানিয়ে দিতে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে তলব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের অসন্তোষের কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আগেভাগে কোনো শলাপরামর্শ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য যে ইস্যু উত্থাপন করা হয়েছে তা সক্রিয় আলোচনার বিষয়। বিশেষ করে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপের মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র আগে কোনোভাবে অবহিত না করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সন্ত্রাস, মাদক পাচার এবং অন্যান্য বহুজাতিক জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থাকা সরকারি একটি এজেন্সির মর্যাদা খর্ব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত। পররাষ্ট্র সচিব হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সুনির্দিষ্ট যেসব ইস্যুতে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব বিষয় শুধু মার্কিন প্রশাসন নয়, বহুবার বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মেকানিজমের অনেকের কাছে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা অবলম্বন করছে। পররাষ্ট্র সচিব মোমেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে ইউনিফর্ম পরা সেবাখাতগুলোতে এর কোনো সদস্য অন্যায় করলে সেই অন্যায়ের আইনগত এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে র্যাব ব্যতিক্রম নয়।