চীন, তুরস্ক, আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়া অস্ত্র সংগ্রহের যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, তাতে বাধা দিতেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পে পণ্য ও সেবা সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটির শক্তিমত্তা বাড়ানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করা হলো, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেস সফর করেছেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর লক্ষ্যে জোর তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া একটি নেটওয়ার্ক চীন, রাশিয়া, হংকং ও পাকিস্তানভিত্তিক। এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চীনের তৈরি অস্ত্র ও প্রযুক্তি রাশিয়ায় সরবরাহ করেছে। নেটওয়ার্কটির আওতায় রয়েছেন চীনের নাগরিক হু জিয়াওজান ও চীনভিত্তিক বেসরকারি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জার্ভিস এইটকে কোম্পানি’।
তুরস্ক ও আরব আমিরাতের একাধিক প্রতিষ্ঠানও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান ‘থামেস্টোন’ ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘মাইক্রো ইলেকট্রনিকস টেকনোলজিসের’ ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।