২১মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩০ এপ্রিল অজ্ঞাত কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোল্লা আকরাম হোসেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে এখন মাঠে রয়েছেন ৪ জন। ৪ জন প্রার্থীর সম্পদ বাস্তবে যায় থাকুক না কেন নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত হলফনামায় দেওয়া তাদের সম্পদের বিতরণ নিম্নরূপঃ
মল্লিক মহিউদ্দিনঃ দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাচনে ৩ বার বিজয়ী সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সেনহাটী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মল্লিক মহিউদ্দিন তার হলফনামায় বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন মাত্র ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। তিনি তার হলফনামায় দেখিয়েছেন প্রতি মাসে তার আয় ১৪ হাজার টাকারও কম। তার অস্থাবর সম্পদ বলতে নগদ দুই লাখ এবং ব্যাংকে মাত্র ১০ হাজার টাকা রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তি বলতে রয়েছে দশমিক ১৪ একর অকৃষি জমি, যার আনুমানিক মূল্য ১৪ লাখ টাকা। তবে তার ছেলের ৪২ লাখ টাকা মূল্যের দশমিক ৪২ একর অকৃষি জমি এবং ৪০ লাখ টাকা মূল্যের একতলা একটি ভবন আছে।
শেখ মারফুল ইসলামঃ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলামে তার হলফনামায় বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে তিনি আয় করেন ২০ হাজার টাকা, মাছ চাষ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং চেয়ারম্যান হিসেবে ভাতা পান ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা । তার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে মাত্র ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৭ টাকার। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে দশমিক ৫০ একর কৃষি জমি, ২ একর অকৃষি জমি এবং দেড় একরের একটি খামার রয়েছে। এসবের মোট মূল্য ৩০ লাখ টাকা হিসেবে দাবি করেছেন তিনি।
গাজী এনামুল হাচান মাসুমঃ দিঘলিয়া উপজেলায় প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক,স্টার জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কৃত গাজী এনামুল হাচান মাসুমের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে মোট ১০টি। এরমধ্যে বর্তমান বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন আইনে মামলা রয়েছে ৮টি। এছাড়া আগে তার নামে মামলা ছিল আরও ২টি।
ব্যবসা থেকে মাসুমের বছরে তার আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ২ লাখ টাকা। ব্যাংকে ২ লাখ টাকা, ৩৮ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৮০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র। স্থাবর কোনো সম্পদ নেই। নেই কোনো ব্যাংক ঋণ।
মোঃ জাকির হোসেনঃ উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী ল্যান্ড ব্যবসায়ী জাকির হোসেন হলফনামায় তার আয় ও সম্পদের কোনো তথ্য দেননি।