সাতক্ষীরায় হাঁস মুরগী নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটের মামলায় আসামী আকবর আলীকে চার মাসের এবং তার স্ত্রী আসামী মনোয়ারাকে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তবে কারাগারে নয়, চারটি শর্তে তিনি নিজ বাড়িতে থেকেই আসামীরা ভোগ করবেন সাজা। আর শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে তাকে পুনরায় যেতে হবে কারাগারে।
সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আদালত) ইয়াসমিন নাহার মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক রায়ে তাদেরকে বাড়িতে থেকে সাজা ভোগ করার সুযোগ দিয়ে এই রায় প্রদান করেন। এসময় আসামি আকবর ও তার স্ত্রী আসামী মনোয়ারা খাতুন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হাঁস মুরগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শুশিলগাতী গ্রামের আকবর আলী নিজের ভাইপো আব্দুল্লাহ এবং আকবরের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন আব্দুল্লাহ‘র স্ত্রী জাহানারাকে মারপিট করে। এঘটনায় জাহানারার বাবা শহরতলীর খড়িবিলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিম আবদুল্লাহ আসামী আকবরের ভাইয়ের ছেলে (ভাইপো)। আবার আসামী মনোয়ারা খাতুন ভিকটিম আব্দুল্লাহ’র আপন খালা এবং চাচী। ভিকটিম আব্দুল্লাহ এর স্ত্রী জাহানারা এর সাথে আসামী মনোয়ারার হাঁস মুরগী নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে আকবর ভাইপোর মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারে। আর মনোয়ারা আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী জাহানারাকে মারধোর করে। এই মামলায় ২০১৬ সালের ২৭ জুন অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামী আকবরকে চার মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও অপর আসামী আকবরের স্ত্রী মনোয়ারাকে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আসামীদের মেয়ে মুন্নিকে খালাস দেয়া হয়। তবে শাস্তি স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে উভয়কে এক বছরের জন্য প্রবেশন প্রদান করেন আদালত। শর্ত হলো আসামীরা ভিকটিম আবদুল্লাহ ও জাহানারাকে ৫ টি ফলজ গাছ প্রদান করবে। আবদুল্লাহ ও জাহানারার চিকিৎসা খরচ বাবদ নগদ দুই হাজার টাকা প্রদান করবে।
উক্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড মোঃ শামছুল বারী এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩)।
এবিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড মোঃ রফিকুল ইসলাম(৩) বলেন, বিচারক পর্যালোচনা করছ যে রায় দিয়েছেন তা সঠিক বিচার হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন