২০১৫ সালে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১৭ মে এ দিন ঠিক করেছে আদালত।
মামুনুলের আইনজীবী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, এ নিয়ে তৃতীয় দফা সাক্ষ্য হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে রোববার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৭ মে নতুন তারিখ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার হোসেন জানান, তারা সাক্ষীদের নোটিশ পাঠিয়েছেন, কিন্তু তারা এখনো আদালতে আসেন নাই। তবে তারা সাক্ষীকে আদালতে হাজিরের জন্য নিয়মিত চেষ্টা করছেন।
এদিন সকালে মামুনুল হকসহ কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানাধীন পীরেরবাগ, মিজান জেনারেল স্টোরের সামনে বিএনপি ও জামায়াত নেতা-কর্মীদের পূর্ব পরিকল্পনায় নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং গাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় মিরপুর মডেল থানার এএসআই খন্দকার রাজিব আহমেদ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে মওলানা মামুনুল হক, বিএনপি নেতা নাঈম চৌধুরী, ইউসুফ মিয়া, মাহাবুব আলমসহ আরও অজ্ঞাতপরিচয়ে ৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
২০১৫ সালের ৩১ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম মামুনুল হকসহ ৬৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। চার্জশিটভুক্ত ৪০ নম্বর আসামি মামুনুল হক।
অভিযোগপত্র দেয়ার পর কয়েকটি আদালত পরিবর্তন হয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
তবে এ পর্যন্ত একজনেরও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি বলে জানিয়েছেন মামুনুলের আইনজীবী আব্দুর রহিম।