জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে মামলা করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। জাবি শিক্ষার্থীরা আজ রোববার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে। এ সময় ছয় দফা দাবি জানানো হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ দাবি উত্থাপন করেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিয়া।
শিক্ষার্থীদের দাবি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করতে হবে, গেরুয়া এলাকায় অবস্থিত শিক্ষার্থীদের পুলিশের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে হবে, নিরাপত্তার স্বার্থে হল খুলে দিতে হবে এবং আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলসহ মূল্যবান সম্পদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এদিকে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া চিকিৎসার ব্যয় এবং গেরুয়া এলাকার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগস্থলে স্থায়ী দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক লায়েক এন্দেল্লাহ।
অধ্যাপক লায়েক এন্দেল্লাহ আরো বলেন, ‘হল খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষার্থী যারা তালা ভেঙে হলে উঠেছে, তা সিন্ডিকেটের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই শিক্ষার্থীদের সিন্ডিকেটের আইন মানার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলার কাজ শেষ পর্যায়ে। কিছু সংশোধনী ছিল, তাই দেরি হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মামলার কাজ সম্পন্ন হবে।’
এর আগে শনিবার হল খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে হলে অবস্থান নেন। এরপর ছাত্রীদের আটটি হলে প্রশাসন পুনরায় তালা দিয়ে দেয়। অন্যদিকে, ছাত্রদের আটটি হলেই শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা হলে থাকলেও ক্যাম্পাসের ভেতরে এবং পাশের গেরুয়া এলাকায় খোলা নেই কোনো খাবার হোটেল ও দোকান। এতে খাবার সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের হলে রান্না করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো গেরুয়া এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম