ভোট দেওয়ার পর শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি সে জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে। পাঁচ বছর পর নির্বাচন আসে জনগণ ভোট দেবে, সে নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি নৌকা মার্কার জয় হবে।
রোববার সকালে রাজধানীর সিটি কলেজে ভোট দেওয়া পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভোটে অংশ না নেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের হরতালের তালে বাংলাদেশের জনগণ নাচে না। যদিও বিএনপি-জামায়াত জোটরা জ্বালাও পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন দেওয়ার থেকে শুরু করে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বোমা হামলা, ককটেল মারা, এসব জঘন্য কাজগুলো তারা (বিএনপি-জামায়াত) করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। দেশপ্রেম নাই, মানুষের কল্যাণও চায় না। তারা গণতন্ত্রের ভালো চায় না।
তিনি বলেন, আশা করি নৌকা মার্কার জয় হবে। আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে, আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে পারব। জনগণের ওপর আমার এ বিশ্বাস আছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আমি আবারও বলবো, আজকে সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবেন, আপনার ভোটটা অনেক মূল্যবান। এ ভোটের অধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। জেল, জুলুম, অত্যাচার, গ্রেনেড, অনেক কিছু আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আজকে ভোটের অধিকার মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি, আজকে সেই ভোটের অধিকার পেয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টার ৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় হাস্যোজ্জ্বল ছবি তোলেন ও কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। সময় শুরুর পরই প্রধানমন্ত্রী ভোট কক্ষে প্রবেশ করেন। তারপর তিনি ভোট দেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ