খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণা
  বছরের প্রথম দশ দিনে হাসপাতালে ৫২৮ ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ৩

মানি লন্ডারিং মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ

গেজেট ডেস্ক

মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ ১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। খন্দকার মোশাররফ এ সময় আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। খন্দকার মোশাররফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০১২ সালে একটি আইন হলো যে, বিদেশে যাদের সম্পদ আছে, সেটাও ঘোষণা দিতে হবে। ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী বিদেশে থাকা আমার এবং আমার স্ত্রীর সম্পদ ঘোষণা করি। এই ঘোষণার মাধ্যমে ট্যাক্স কর্মকর্তারা আমার থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সে ঘোষণার অঙ্ক ধরেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো টাকা বিদেশে পাচার করেছি, এমন কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। আইনজীবীরা স্বীকার করেছেন যে, আমার বিরুদ্ধে করা এই মামলা কেবলই রাজনৈতিক একটি প্রতিহিংসা। এই মামলার কারণে আমাকে জেলে যেতে হয়েছে, নির্যাতিত হতে হয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক আজ সৎ সাহসের সঙ্গে সঠিক রায় দিয়েছেন,এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রাপাচার করে আইনপরিপন্থি কাজ করেন। খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ড. খন্দকার মোশাররফ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় দুদক।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!