খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

মানিকগঞ্জে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৭

গেজেট ডেস্ক

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অটোরিকশার নিহত ৬ যাত্রী একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের চাষাবাদড়া বাদ্যকর এলাকায়। নিহত অন্যজন অটোরিকশার চালক। এদের একজন শিশু ও দুইজন নারী রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দৌলতপুরে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশাকে অপরদিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস মুখোমুখি ধাক্কা দিলে সিএনজিতে সাত জন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার সকালে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে ট্রাক চাপায় আরো ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয় আরো পাঁচজন।

নিহতরা হলেন, নিহত ট্রাকের হেলপার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শমসের হাট গ্রামের মো. রতন মিয়ার মিয়ার ছেলে মো. চুন্নু (৩২), রংপুরের পিরগঞ্জ উপজেলার ধলনাকান্দি গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৪), একই গ্রামের পারভেজ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩১), হরিরামপুরসাহাপুর গ্রামের নুলু খানের মেয়ে নুরুন্নাহার (১৬), একই গ্রামের সোবহানের ছেলে শওকত (১২) এবং পিরগঞ্জের ইসহাক মন্ডলের ছেলে হান্নান (৫০)।

আহতরা হলেন, বাসের যাত্রী রংপুরের পিরোজপুর উপজেলার জাহাঙ্গীরবাগ গ্রামের রওশন আলীর স্ত্রী রেশমী বেগম (২০), একই উপজেলার কদরপাড়া গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী চন্দ্রনা, আশবাড়ী গ্রামের মো. পলাশ মিয়ার ছেলে মো. পারভেজ (১২), পিরোজপুর উপজেলার উপজেলা হরিরাম শাহাপুর গ্রামের এমদাদুলের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম (২৭) ও রাজশাহীর বোয়ালী উপজেলার মতিয়া বিল গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. রিদয় মিয়া (২২)। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

গোড়াই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, রংপুর থেকে ছেড়ে আসা সেবা ক্লাসিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মির্জাপুর উপজেলার কূর্নী এলাকায় বিকল হয়ে পড়ে। পরে মেরামতের জন্য রাস্তার পাশে দাঁড় করানো হয়। পরে একই দিক থেকে ঢাকাগামী সবজি ভর্তি এক ট্রাক বাসটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। এতে ঘটনাস্থলেই চার জন নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরো দুজন নিহত হন।

মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইমরান চৌধুরী জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বাকিরা শঙ্কামুক্ত রয়েছে। তারা সকলেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!