মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে পিকনিকের ট্রলারডুবির দুই দিন পর নিখোঁজ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়ালো।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঘিওর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কামতা এলাকার দানেজ আলির ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও একই ইউনিয়নের উত্তর কাউন্নারা গ্রামের মৃত সেলিমের ছেলে রাসেল (১৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভাটিতে ভাসমান অবস্থায় দুইজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রফিকুল ও রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ঘিওর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ ট্রলারের কোনো এক জায়গায় আটকে ছিল। গতকাল রাতে ট্রলারটি শনাক্তের পর উঠানোর জন্য ভাসানো হলে মরদেহ দুটি স্রোতের সঙ্গে ভেসে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ সকালে তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে খবর দেয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে যমুনা সেতু দেখতে নৌ ভ্রমণে যান মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কামতা এলাকাসহ এর আশপাশের গ্রামের ছোট-বড় ৬০ জন। ভ্রমণ শেষে বাড়ির ফেরার পথে রাত ১২টার দিকে ঘিওরে কুসুন্ডা এলাকায় এলে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের (ভ্রমণের) ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলার চালকসহ ভ্রমণকারী ৫৮ জন নদীর পারে উঠতে পারলেও দুইজন নিখোঁজ হন। নদীর তীরে আসা ভ্রমণকারীর মধ্যে পাঁচজন আহত হলে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক লিমন নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম