মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতাসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তর করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ৩জন হল, মো: ইমরান গাজী, সাবানা সুলতানা ও আব্দুস সালম শেখ।
র্যাবের পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ২১ মার্চ শ্যামপুর থানাধীন জুরােইন পাইপরাস্তা এলাকা হতে এক নারীকে আসামিরা সৌদিআরবে ভাল বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ইন্ডিয়া বসিরহাট নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে কলকাতার একটি যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। ভিকটিম সেখানকার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে উক্ত যৌনপল্লী পরিচালনাকারী লোকজন তাকে আসামীদের নিকট ফেরৎ প্রদান করে তাদের কাছ থেকে গৃহিত অর্থ ফেরত চায়। আসামিরা তাকে অন্য একটি হোটেলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে যাতে। যেন সে সেখানে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে রাজি হয়। তখন ভারতীয় একটি এনজিও বিডিএল স্মাইল চাইল্ড ফাউন্ডেশন ঘটনাটি জানতে পেরে ওই নারীকে উদ্ধার করে। ভিকটিম বর্তমানে উল্লেখিত এনজিওর হেফাজতে আছে। আসামিরা সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের প্রধান ও সক্রিয় সদস্য। নিরীহ দরিদ্র মেয়েদেরকে সৌদিআরবসহ বিভিন্ন দেশে ভালো বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নগদ টাকা আত্মসাৎ করা ও দেশের বাইরে মোটা অংকের টাকার বিনিময় পতিতালয়ে বিক্রি করাই তাদের পেশা। উক্ত ঘটনার বিষয় অবগত হয়ে ভিকটিমের স্বামী মোঃ ফয়সাল ডিএমপি, ঢাকা শ্যামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা এর একটি আভিযানিক দল ২২ জুন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নারী অপহরন পূর্বক পতিতাবৃত্তি করানোর জন্য বিদেশে পাচার করা সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধান এজাহারনামীয় আসামি মোঃ ইমরান গাজী, সাবানা সুলতানা ও আব্দুস সালাম শেখকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় ইতিপূর্বে কয়েকজন নারীকে তারা পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করে। উল্লিখিত আসামিদের ঢাকা শ্যামপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড