বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘জোর করে ক্ষমতায় থাকা এই অবৈধ সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তুলনা করতে হবে। নির্যাতন, হত্যা, গুম করে অনির্বাচিত এই সরকার দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে। সবাই মিলে তাদেরকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কমিটি গঠন করে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অত্যাচার-নির্যাতন করে ক্ষমতায় বসে আছে সরকার। এ কথাগুলো আমরা বার বার বলে আসছি।
‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ইতিহাস হলো গণতন্ত্রের ইতিহাস। তিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্র রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও চর্চায় ব্যয় করেছেন। খালেদা জিয়া একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের মানুষকে মুক্ত করতে তিনি লড়াই করে চলেছেন। গণতন্ত্রের জন্যই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে কারান্তরীণ করে রেখেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।’, বলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জোর করে ক্ষমতায় থাকা এই অবৈধ সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তুলনা করতে হবে। নির্যাতন, হত্যা, গুম করে অনির্বাচিত এই সরকার দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে।
‘সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তারপরও এই সরকার সহজে যাবে না। সবাই মিলে তাদেরকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি প্রথম দাবি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে পদত্যাগ করে, সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি