কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে হাবু (৩৮), একই উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের দবির কসাইয়ের ছেলে বাবলু (৪৩), একই গ্রামের রমজানের ছেলে মুসলাম (৪০), লিয়াকতের ছেলে জাহাঙ্গীর (৪০), সিরাজের ছেলে বকুল (৩৮), মমিনের ছেলে জাইদুল (৩৩)। এদের মধ্যে হাবু, জাহাঙ্গীর ও জাইদুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর পরই পুলিশ পাহারায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লালু, লালন ও রিপনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ মে বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের বেলতলা মাঠে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটা টিম মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ সময় পানের বরজ সংলগ্ন একটি গর্ত থেকে পাঁচটি প্লাস্টিকের বস্তায় ৬৭১ বোতল ফেনসিডিল ও ১০টি সাদা পলিথিনে মোড়ানো ৪৬ কেজি গাজা উদ্ধার করে গোয়েন্দা শাখা। এ ঘটনায় সেদিনই তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়।
মামলাটি তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) টেবিল ৩(খ)/৭ (ক) ধারার অধীনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, মাদক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।