দু’বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সম্ভাবানাময় তরুন ক্রিকেটার কাজী অনিককে। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আজ ২৬ জুলাই রবিবার বিসিবি এক সংবাদ বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এই ক্রিকেটার ২০১৮ সালের আইসিসি’র অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন।
২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর কক্সবাজারে ঘরোয়া ক্রিকেট চলাকালে এক মাদক টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হন তরুণ এই পেসার। তার শরীরে নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক মেথামফেটামিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কাজী অনিক আইসিসি এবং বিসিবি’র প্রণীত মাদক বিরোধী বিধিবিধান ভঙ্গ করেছেন। সেই বিধি অনুযায়ী তাকে বিসিবি সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। তবে তার এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। সেই হিসেব অনুযায়ী আগামী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তার এই শাস্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের শরীরে ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাদক গ্রহণের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া যায়। সেদিনই তার বিরুদ্ধে আনীত শাস্তি মেনেও নেন কাজী অনিক।
বিসিবি’র মাদক বিরোধী বিধিবিধান (বিধি ৯ ও ১০.৮) অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর থেকে তার সকল রেকর্ড অবৈধ বলে গৃহীত হবে। সেই সঙ্গে এই সময়কাল থেকে তার সকল মেডেল, পয়েন্ট এবং ট্রফিও কেড়ে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর কাজী অনিকের শরীর থেকে মাদকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলেছেন অনিক। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ২০১৭ সালে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়েছিল। সম্ভাবনাময় এই তরুণ পেসার সেই বছরের বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুতেই মাদক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এখন তার ক্রিকেট জীবনই বড় অনিশ্চয়তায়।
খুলনা গেজেট/এএমআর