প্রয়াত পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের নেভারল্যান্ড বাড়িটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে মাত্র ২ কোটি ২০ লাখ ডলারে। এই অর্থে বাড়িটি কিনেছেন তারই সাবেক এক বন্ধু বিলিয়নিয়ার রন বার্কলে। নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ বলে পরিচিত মাইকেলের এই বাড়িটি ক্যালিফোর্নিয়ার লস অলিভোস এস্টেটে অবস্থিত। বার্কলের মুখপাত্র বাড়িটি কিনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করেছে যে, তারা পাবলিক রেকর্ড এবং এই চুক্তির বিষয়ে জানেন এমন তিনজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করেছে।
নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ ২৭০০ একর জায়গায় বিস্তৃত। মাইকেল জ্যাকজন মারা যাওয়ার পর প্রথমে এই বাড়িটি ১০ কোটি ডলারে বিক্রি করার কথা বলা হয়। তখন থেকেই সান্তা বারবারা শহরের উত্তরে অবস্থিত নেভারল্যান্ড মার্কেটে অন-অফ হচ্ছিল। অর্থাৎ বিক্রির তালিকায় কখনো উঠছিল। আবার নেমে যাচ্ছিল। তবে গত বছর এর দাম ওঠে সর্বনিম্ন ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।
নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চের জন্য মাইকেল জ্যাকসন পরিশোধ করেছিলেন এক কোটি ৯৫ লাখ ডলার। তারপর তিনি এই বাড়িটির নাম রাখেন নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ। জেএম বেরি’র লেখা পিটার প্যান কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে বাড়িটির নাম রাখেন নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ। এর অর্থ হলো, যেখানে শিশুরা বড় হয় না। ‘থ্রিলার’ গায়ক মাইকেল জ্যাকসন এই বাড়িটি কিনেছিলেন ১৯৮৭ সালে।
তখন তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এমন কোনো দেশ নেই, যেখানকার মানুষ তাকে চেনেন না। তারার তিনি এই বাড়িটিকে নিজের বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করেন। এই বাড়িটিকে তিনি একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করেন। বাড়ির চত্বরে নির্মাণ করেন একটি চিড়িয়াখানা। খেলার স্থান। এসব স্থানে তিনি ছেলেমেয়েদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত বিনোদন অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন। কিন্তু ১৯৯০ এর দশক এবং ২০০০ এর শুরুতে নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চ বিতর্কিত হয়ে ওঠে।
বলা হয়, সেখানে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন করেছেন জ্যাকসন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। সান্তা বারবারার প্রসিকিউটরদের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। ২০০৫ সালে ১৩ বছর বয়সী একটি বালকের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাইকেলের বিচার করা হয়। তবে এতে তিনি খালাস পান। তারপর তিনি আর নেভারল্যান্ডে ফিরে যান নি। এর চার বছর পরে ২০০৯ সালের জুনে তিনি লস অ্যানজেলেসে তার আরেকটি বাড়িতে মারা যান।
খুলনা গেজেট/এনএম