মাতৃভূমি রক্ষার্থে ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশের জন্য লড়াই করেছেন সি আর দত্ত। তিনি সারাজীবন সেই লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। কোনো কিছু নিয়ে তার কখনও কোন আক্ষেপ ছিল না। তার সারাটি জীবনের সবটুকু স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে। সোনার বাংলার উন্নতি হবে কীভাবে তাই নিয়ে ভাবতেন তিনি। সি আর দত্ত শুধু মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংগঠক। রণাঙ্গনে তার সাহসী ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। সি আর দত্তের নাগরিক স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিএমএ মিলনায়তনে গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে যুদ্ধকালীন ৪নং সেক্টরের কমান্ডার অবসরপ্রাপ্তমেজর জেনারেল সি আর দত্তের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম। সভায় সঞ্চালনা করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সমন্বয়কারী সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। প্রবন্ধ পাঠ করেন চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপী কৃষণ মুন্ধড়া।
সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন বৃহত্তর খুলনা জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আ ফম মহসিন, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, জেপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, জাসদের নগর সভাপতি খালিদ হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির নগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, সিপিবি নেতা রসু আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহাম্মদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের মহানগর সভাপতি বীরেন্দ্র নাখ ঘোষ ও নারী নেত্রী পপী ব্যানাজী প্রমুখ। জাতীয় সংঙ্গীতের মাধ্যমে স্মরণ সভা শুরু হয়।
খুলনা গেজেট/এআইএন