নানা নাটকীয়তার পর শুক্রবার বিএনপিকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যা হতেই মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়। পরে বাকি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখোর থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা নিরব হয়ে পড়ে মাঠটি। রাত ১২টার পরে সরেজমিনে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা মাঠে চাদর, পেপার বা গামছা বিছিয়ে শুয়ে পড়েন, অনেকে শোয়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
শুয়ে শুয়ে কেউ কেউ ভিডিও কলে পরিবারকে নিজেদের অবস্থান জানান, আবার কেউ মোবাইল ফোনে লাইভ দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে পর্যাপ্ত ইন্টারনেটের অভাবে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তারা।
ঢাকার এই সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখোর পরিবেশ চোখে পড়ার মতো। রাতের বেলাও রোদ চশমা পরে সমাবেশস্থলকে পেছনে রেখে ছবি তুলতে দেখা গেছে কয়েকজনকে।
ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা। নেতাকর্মীদের হাতে হাতে এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি লাগানো পোস্টার দেখা গেছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
এই সমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। গ্রেপ্তার না হলে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।