ঘরবন্দী থেকে মুক্ত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছেন আগ্রহী ক্রিকেটাররা। বিসিবির অনুমোদনে এবার মাঠে নামলেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। আজ বুধাবর সকালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রানিং ও ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন এই ক্রিকেটার। শুধু মাঠে কাজ করলেও ঈদের পরে ইনডোর ব্যবহার করতে চান রুমানা। রুমানার সাথে ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার উইকেট রক্ষক ব্যাটার সুলতানা ইয়াসমিন বৈশাখী।
নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, বোর্ড থেকে ছেলেদের ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য সিডিউল করে দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের অনুশীলনে কোন বাধা নেই। তবে আমি আজ থেকে শুধু মাঠে কাজ করা শুরু করেছি। এখনও জিমে বা ইনডোরে যাচ্ছি না। জিমে অনেকেই যাচ্ছে, করোনার এই সময়ে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই জিমে যাচ্ছি না।
তবে মাঠে রানিং করতে পেরে দারুণ খুশী রুমানা। সেই সাথে মাঠের একটি ভারী রোলারও টেনে ফিটনেসের কাজ করেছেন। তার মাঠে ফেরার এই উচ্ছাসটা প্রকাশ পেলো তার ফেসবুক পেজে। যেখানে রুমানাকে রোলার টেনে ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, হ্যা, ফিটনেসকেই এখন সবথেকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি। এজন্য রানিংয়ের পাশাপাশি আরও যা যা করা যায়, তা সবই করছি।
এখন মাঠে ফেরাটা ছোট করে হলেও ঈদের পরেই আরও একটু বড় করে সবকিছু করতে চান। বলেন, আমার বাসা স্টেডিয়ামের একেবারেই পাশে। আমার আসতে সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু সালমা আপু বা অন্যদের আসতে হবে অনেক দূর থেকে। এই মুহুর্তে এত বেশী রাস্তায় চলাচলও কতটা নিরাপদ সেটা নিয়েই ভাবনা। এ কারণে একাই অনুশীলন করছি। তবে ঈদের পরে আরও কয়েকজনকে একসাথে পেলে সেভাবে অনুশীলনটা শুরু করতে পারবো।
এই মুহুর্তে নারী ক্রিকেট দলের জন্য কোন সিডিউল নেই। তাই বিসিবিরও কোন তাড়া নেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মাঠে ফিরতে পারে মেয়েদের জাতীয় লিগ। তাছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বোর্ড হয়তো দ্বিপাক্ষিক সকোন সিরিজের আয়োজনের করবে এমনটাও জানানো হয়েছে। তাই প্রস্তুতির ঘাটতি রাখা যাবে না বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এএমআর