মাঠের বাইরে তো বটেই, মাঠেও এবার একগাদা শর্ত আরোপ করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। জৈব সুরক্ষা বলয় থাকা সত্ত্বেও এমন সব কঠোর নিয়মের দাবি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যাতে রীতিমত তাদের ছায়া মাড়ানোর সুযোগ হবে না কারও। বিসিবি অবশ্য সব শর্ত মেনেই আতিথেয়তা দিচ্ছে অজিদের।
ঢাকায় আসা ১০ দিন আগে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি, এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ, পুরো হোটেল বুকিং কিংবা বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ- এসব শর্ত জুড়ে দিয়ে সফরের আগেই আলোচনার জন্ম দিয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি দলটি। এবার মাঠের লড়াই শুরুর আগে মাঠকেন্দ্রিক বেশ কিছু শর্তের কথাও জানা গেল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বহুল প্রতীক্ষিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মিরপুর স্টেডিয়ামে কড়াকড়ি জোরদার করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের চলাচলও এখন সীমিত। তা না হয় জৈব সুরক্ষা বলয়ের প্রচলনের পর থেকেই। কিন্তু বলয়ে থেকে সুরক্ষিত যে মাঠকর্মীরা, তারাও ঘেঁষতে পারবেন না ক্রিকেটারদের কাছে!
অজিদের বিপক্ষে সিরিজের বায়োবাবল নিশ্চিতকরণের দায়িত্বে থাকা উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সেসব শর্ত। তিনি জানান, অনুশীলন বা ম্যাচের দুই ঘণ্টা আগে মাঠ খালি করে দিতে হবে। এ সময় দুই দলের সদস্যরা ছাড়া কেউই মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর বিষয়টি মনিটরিং করবে অস্ট্রেলিয়ার পরিদর্শক দল।
মাঠে মাঠকর্মীদের কাজ থাকা অস্বাভাবিক নয়। যদি মাঠকর্মীদের মাঠে প্রবেশ করতেই হয়, তাহলে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে অন্তত ৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
ঐ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘অস্ট্রেলিয়া মূল বিল্ডিং অর্থাৎ ভেন্যুর ড্রেসিংরুমে যাবে, মাঠে গিয়ে ফিল্ডিং প্র্যাকটিস করবে, এরপর অ্যাকাডেমিতে ব্যাটিং প্র্যাকটিস। এই দুই জায়গায় কোনো লোক থাকবে না। আর মাঠে কোনো খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে না, শুধুমাত্র পানীয় থাকবে।’
ভাইরাস থেকে বাঁচতে এমন ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা’ শুধু অস্ট্রেলিয়া দলের ক্ষেত্রেই নয়। বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার শর্ত মেনেই!
খুলনা গেজেট/কেএম