খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জাহাজে ৭ খুনে জড়িতদের বিচার দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু
  মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ষাটোর্ধ বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ : ভাইস চেয়ারম্যান আটক

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালায় চিংড়ী ঘেরে চুরি করে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ লুৎফর নিকারীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানকে আটক করেছে।

এদিকে থানায় আটক ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে তালা উপজেলা সদরে গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। একই দাবিতে তালা থানার সামনে খুলনা-পাইকগাছা সড়কে যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান নিয়েছে।

সোমবার (১৭ আগস্ট) অনুমান রাত সাড়ে ১১টার দিকে তালা সদর ইউনিয়নের জিয়ালা নলতাগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান,নিহত লুৎফর নিকারীর ছেলে সেলিম নিকারী তাদের নিজেদের ঘেরে মাছ ধরছিল। এ সময় পার্শ্ববর্তী মশিয়ার রহমানের ঘের থেকে সে মাছ চুরি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। মশিউয়ার রহমানের ঘের কর্মচারী রনি ও কয়েকজন সেলিমকে মারধর করে ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে সেলিমের বাবা লুৎফর নিকারী তার মৎস্য ঘেরে যান।

এসময় ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান,তালা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি তুহিন ও ঘের কর্মচারী রনি সহ কয়েকজন লুৎফর নিকারী ও তার ছেলে সেলিমকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করতে থাকে। এর কিছুক্ষন পর তিনি জ্ঞান হারালে দুজনকেই তালা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এসয়ম তালা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে’র কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান,নিহত লুৎফর নিকারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সরদার মশিয়ারের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে সেলিম বিশ্বাস আমার মৎস্য ঘেরে মাছ চুরি করতে আসলে আমার ঘেরে থাকা কর্মচারীরা তাকে মাছ চুরিরত অবস্থায় ধরে ফেলে এসময় মাছ চুরির অপরাধ তাকে আমার কর্মচারীররা জিজ্ঞাসাবান করে। কিন্তু মৃত লুৎফর রহমার আমার ঘেরে আসেনি। ফলে তাকে মারধর করার প্রশ্নই ওঠে না। আমি শুনেছি ছেলের মাছ চুরির খবর শুনে সে ষ্ট্রোক করে মারা যায়।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!