সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে একটি মৎস্যঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট ছিটিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১১টার দিকে গ্যাস ট্যাবলেট ছিটানোর সময় হাতেনাতে দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ঘের মালিকরা।
আটকৃতরা হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে রাকিবুল হাসান রনি (৩৪) ও একই গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৩৭)।
ভুক্তভোগী মৎস্যঘের মালিক জাহাঙ্গীর জানান, তিনি ও তার অংশীদার চঞ্চল মিলে বিগত তিন বছর ধরে শিবনগর এলাকায় ২৮ বিঘা জমির একটি মৎস্যঘের পরিচালনা করে আসছেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাবসা ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের রবিউলের ছেলে রাকিবুল হাসান রনির প্ররোচনায় একই গ্রামের ইব্রাহিম ও পলাশ ঘেরে প্রবেশ করে গ্যাস ট্যবালটে ছিটিয়ে দেয়।
ঘের মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগের সময় আমরা রনি ও ইব্রাহিম দুজনকে হাতেনাতে আটক করি। এসময় পলাশ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে লক্ষ্য করি, ঘেরের সব প্রজাতির মাছ ছটফট করে পানিতে ভাসতে শুরু করেছে। এর কিছুক্ষণ পরে দেখা যায়, ঘেরের সব মাছ মরে পানির উপর ভেসে উঠেছে।
তিনি আরও জানান, গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগের ফলে ঘেরের সমুদয় রুই, গ্রাস কার্প, ব্ল্যাক কার্প, ট্যাংরা, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ রেনুপোনাও মারা যায়। এতে প্রায় তার আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পরে আটক রনি ও ইব্রাহিমকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তবে এ সময় গ্যাস ট্যাবলেট প্রদানকারি অপর অভিযুক্ত পলাশ পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও আশপাশের ঘের মালিকরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর আটক দুই আসামিদেরকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে