মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর দুই পাড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। এ নৌকাবাইচটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও লাখো দর্শকের উপস্থিতিতে এ উৎসব উপভোগ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে মধুমতী নদীর রুইজানি ঘাট থেকে শুরু হয়ে নৌকাবাইচ শেষ হয় থানা ঘাটে। এ বাইচে অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ২৮টি নৌকা দল ও কয়েক শ বাইচাল। বিষয়টি জানিয়েছেন মহম্মদপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধক্ষ্য মো. মিজানুর রহমান মিলন।
মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদারের বাবা প্রয়াত বিহারী লাল শিকদারের নামে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার নামকরণ করা হয়েছে ‘বিহারী লাল শিকদার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা’।
প্রতিযোগিতায় খুলনা থেকে আসা সোনারতরী নৌকা প্রথম স্থান দখল করে জিতে নেয় নগদ ২০ হাজার টাকা। ফরিদপুরের আলফাডাঙা থেকে আগত সবুজপরী নৌকা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে জিতে নেয় নগদ ১০ হাজার টাকা। আর তৃতীয় স্থান অর্জনকারী নড়াইলের জলপরী নৌকা দলের হাতে পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় ৫ হাজার টাকা। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন শ্রী বীরেন শিকদার।
এ সময় বীরেন শিকদার জানান, নৌকাবাইচ আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ জন্য নৌকাবাইচকে পৃষ্ঠপোষকতা ও এ অঞ্চলের মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য আট বছর আগে আমি যে নৌকাবাইচের শুরু করেছিলাম, তা আজ এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। সবার সহযোগিতায় এ উৎসব আমরা চালিয়ে যেতে চাই।
এ সময় উপস্থিত সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল, মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল। লাহেল কাফি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনিন, মহম্দপুর থানার ওসি নাসিরুদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এএ