খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২২
  কুষ্টিয়ার বটতৈলে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ডিএনএ টেস্টে বোনের শ্বশুরের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে

গেজেট ডেস্ক

মাগুরার সেই ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের (শিশুটির বোনের শ্বশুর) সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ প্রতিবেদনে। অন্য যারা আসামি রয়েছেন, তাদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক আরেক গণমাধ্যমে বলেন, এগুলো খুবই টেকনিক্যাল বিষয়। ডিএনএ রিপোর্টটা দেয় সিআইডি। সিআইডি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় মামলার প্রধান আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তিনি একাই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এক মাস হয়ে গেলেও আমরা কোনো বিচার পাইনি। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের দ্রুত ফাঁসি চাই।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়।

পরে শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়া শিশুটির মা গত ৮ মার্চ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি হিটু শেখ জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় বাকি তিন আসামির ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তারা সবাই কারাগারে আছেন।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!