মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মাওলানা ভাসানী অধিকার বঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে মাওলানা ভাসানী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাঁকে কখনও আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তাঁর সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। মাওলানা ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মাওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মাওলানা ভাসানী তাঁর জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। মাওলানা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সারাজীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম।
খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আফ্রো এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ের মহান এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। মাওলানা ভাসানী স্মৃতি পরিষদ খুলনার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মাওলানা ভাসানীর অন্যতম সহযোগী ও স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক প্রবীণ আইনজীবী গাজী আব্দুল বারী। সঞ্চালনা করবেন পরিষদের সদস্য সচিব শেখ মুশারর্ফ হোসেন।
খুলনা গেজেট / এমএম