মাংস অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হতে পারে। স্বাস্থ্য সমুন্নত রাখতে প্রাণীজ প্রোটিনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কেবল প্রোটিন নয়, মাংসের অন্যান্য পুষ্টিও শরীর সুস্থ-সবল রাখতে কাজ করে।
লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টি হলো- প্রোটিন, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন বি-১২, সেলেনিয়াম ও জিংক। কিন্তু মাংস কীভাবে রান্না করা হচ্ছে তার ভিত্তিতে এটা অস্বাস্থ্যকরও হতে পারে, তৈরি করতে পারে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি। তাই ঝুঁকি এড়াতে এখানে মাংস রান্নার চারটি স্বাস্থ্যকর উপায় উল্লেখ করা হলো।
তাপমাত্রা খেয়াল রাখুন
উচ্চ তাপে মাংস তথা প্রাণীজ প্রোটিন রান্না করলে হিটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস ও পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। এসব কেমিক্যাল কম্পাউন্ড ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। গবেষণায় কিডনি ক্যানসার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার ও প্রোস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নাকৃত মাংসের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। মাংসের ধরন ও কাটার ধরনের ওপর আদর্শ তাপমাত্রা ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন গরুর মাংসের স্টিক বা রোস্ট রান্নার জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হলো ১৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
চর্বিহীন মাংস গ্রিলিং করুন
গ্রিলিং করে খেতে চাইলে চর্বিহীন মাংস বেছে নিন। গবেষণায় দেখা গেছে, চর্বিবহুল মাংস গ্রিলিং করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। চর্বিবহুল মাংস গ্রিলিং করা হলে পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনস নামক কার্সিনোজেন উৎপন্ন হয়। মাংসের চর্বি গলে গ্রিলের ওপর পড়ে ও আগুনের আঁচ বেড়ে কার্সিনোজেনটি তৈরি হয়, যা স্মোকের মাধ্যমে মাংসের ওপর লেগে থাকে। অন্যদিকে চর্বিহীন মাংস গ্রিলিং করলে এমন কিছুর সুযোগ নেই বললেই চলে।
মাংস পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন
পোড়া মাংসের স্বাদ যেমনই হোক, এটা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। মাংস যত পুড়বেন, ক্যানসারের ঝুঁকি তত বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটিতে প্রকাশিত গবেষণা মতে, পোড়া মাংস বেশি খেলে শরীরে কার্সিনোজেন বেড়ে যায়। বিশেষ করে হিটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস। শরীরে যত কার্সিনোজেন প্রবেশ করবে, ক্যানসারের ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পাবে।
মসলা বাড়িয়ে দিন
কেবল স্বাদ বাড়াতে নয়, রোগের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যেও মাংসে মসলার ব্যবহার বাড়াতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, মাংসে মসলার পরিমাণ বাড়ালে অথবা মসলা দিয়ে সিজনিং বা মেরিনেড করলে হিটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস কমে যায়। যার মানে হলো, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে যায়।
খুলনা গেজেট/ এস আই