ঝিনাইদহের মহেশপুরের স্কুলছাত্র এহতেশাম মাহমুদ রাতুল হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে যশোরের ডিবি পুলিশ। আপন বোন ও ভগ্নিপতিসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো, কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী মন্ডলের ছেলে শিশির আহমেদ, তার স্ত্রী মাহমুদা মমতাজ মীম ও বন্ধু একই গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে শাওন।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, রাতুলের বোন মীমের সাথে শিশিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে তারা দু’জনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। নিহতের পিতা মহিউদ্দিন বিয়ে মেনে নেন। কিন্তু পরে জামাইকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অপমান ও অপদস্ত করেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী মীমের পরিকল্পনায় মোবাইল ফোন করে চৌগাছার লস্করপুর গ্রামে ডেকে এনে রাতুলকে হত্যা করেন শিশির। হত্যাকান্ডে শিশিরের সাথে তার বন্ধু শাওন ছিল। তদন্তে মীম, শিশির ও শাওনের পরিকল্পনা ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন।
রাতুল মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে ও সামবাজার এম.পি.বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ১১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে নিখোঁজ হয়। পরদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার লস্করপুর শ্মশান মাঠের একটি পাটখেত থেকে মুখে কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মহিউদ্দিন অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করে ১৩ জুলাই চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন। তিনি প্রথমে সন্দেজনকভাবে নিহতের ভগ্নিপতি শিশিরকে আটক করেন। এরপরে একে একে হত্যাকান্ডের সব তথ্য বেরিয়ে আসে। এরই প্রেক্ষিতে তিনি রোববার আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন।