খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পণে খুলনা গেজেট’র সকল পাঠক, লেখক, সংবাদকর্মী, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীকে আন্ত‌রিক শুভেচ্ছা

মহিষ লুটের ঘটনায় বিএনপি ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

গেজেট ডেস্ক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৪১টি মহিষ লুট করার মামলায় বিএনপি নেতা সাইদুর চেয়ারম্যানসহ ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৩ এপ্রিল) কুষ্টিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজ।

কারাগারে পাঠানো ১১ নেতাকর্মীরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। তারা সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর গ্রামের মণ্ডলপাড়া এলাকায় পদ্মার চরের সাইদ মণ্ডলের মহিষের বাথানে রাখালদের অস্ত্রের মুখে ফেলে ৪১টি মহিষ লুট করে। মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন মহিষগুলো লুট করে। এ সময় তারা মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকতকে (৩৫) বেধড়ক মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখে।

এমন খবর পেয়ে বুধবার সকালে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া মহিষ উদ্ধার করতে পারেনি। মহিষগুলো লুট করার পরপরই ট্রাক ভর্তি করে অন্যত্র পাচার ও বিক্রি করে দেন আসামিরা। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় মহিষের বাথান মালিক সাইদের স্ত্রী তমা খাতুন ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৪১টি মহিষ লুট মামলায় ১২ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে। জামিন চাইলে ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন বিচারক। এক আসামিকে জামিন দেন আদালত।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!