ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের তৃতীয় লিঙ্গের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, কুপ্রস্তাব ও শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। জনসম্মুখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই যুবক। গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী যুবক কোটচাঁদপুর উপজেলার সিঙ্গীয়া গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবককে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে ওই যুবক রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে শহরের বলুহর বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকানে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন করেন পিংকি খাতুন। এ সময় ওই যুবককে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয় এবং মুখে ও শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। এমনকি তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান ওই যুবক।
ভুক্তভোগী ওই যুবক গনমাধ্যমে বলেন, আমি বিভিন্ন সময়ে যাত্রা ও মঞ্চে গান পরিবেশন করি। এতে যে টাকা-পয়সা পাই, ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি সেটাও আমার কাছ থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়। সেই সাথে তাকে অনৈতিক ও শারীরিক সম্পর্ক করতে বলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পিংকি তাকে নির্যাতন করেছে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিল।
তিনি বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এত দিন সব সহ্য করেছি। সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন বলেন, ওই ছেলের সাথে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সে ছেলে হয়ে মেয়েদের মতো চুল রাখে, উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করে, এজন্য সামাজিক পরিবেশ রক্ষার জন্য তাকে বোঝানো হয়েছে। এর বেশি কিছু না।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, থানা থেকে এখনো কোনো খবর পাইনি।
কোটচাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ আল মামুন জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকির বিরুদ্ধে এক যুবক অভিযোগ করেছে। দেখে মনে হয়েছে তিনিও তৃতীয় লিঙ্গের। যতটুকু জানতে পেরেছি তারা আগে একই সাথে চলতো। তবে কোনো একটা বিষয় নিয়ে তাকে তিনি (পিংকি) চড়থাপ্পড় মেরেছে বলে জানতে পেরেছি। অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ