অভয়নগর উপজেলার শিল্প বানিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার যশোর-খুলনা মহাসড়কে অবৈধভাবে ট্রাক পার্কিং করে রাখায় প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। বিড়ম্বনায় পড়ছে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। খানাখন্দে ভরা মহাসড়কে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমনকি যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা ও পন্য লোড আনলোড করায় এমন যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নওয়াপাড়া বাজারের নুরবাগ মোড় থেকে আকিজ সিটি সেন্টার পর্যন্ত সড়কের শতশত ট্রাক পার্কিং করে রাখা। এতে সড়ক সংকোচিত হয়ে পড়ায় তীব্র যানজট লেগে যায়। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে পড়ায় যাত্রীদেরকে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায়।
সড়কের দু’পাশে ট্রাক পার্কিং করার কারণ জানতে চাইলে দিনাজপুরের ট্রাক ড্রাইভার রিপন হোসেন বলেন, আমরা জানতাম না যে ঘাটে ট্রাক পার্কিং এর যায়গা নাই। উপায় না দেখে সড়কের উপর গাড়ি পার্কিং করতে বাধ্য হয়েছি।
খুলনার ড্রাইভার নুর ইসলাম তার অপরাধ শিকার করে বলেন, আমার সিরিয়াল নাম্বার ৩১। আমার সামনে এখনো ২০টি ট্রাক। ট্রান্সপোর্টের লোকের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হয়েছে।
জাফ্রিদী ট্রান্সপোর্টের সুপার ভাইজার সোহেল রানা বলেন, গত বৃহস্পতিবার আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে কিছু গাড়ি লোড হয়নি। যে কারণে আজ গাড়ি চাপ বেড়ে গেছে।
একই ট্রান্সপোর্টের অপর প্রতিনিধি ধ্রুব মন্ডল বলেন, কিছুক্ষণ আগে এসিল্যান্ড স্যার এসে আমাদের সতর্ক করেছে। আর বলেছে মহাসড়ক ছেড়ে দিয়ে নির্ধারিত স্থানে সরিয়ে নিন। আমরা সব গাড়ি নির্ধারিত স্থানে সরিয়ে দিয়েছি।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম মোল্যা জানান, আমরা কিছু বলতে গেলে নওয়াপাড়ার লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়। এ কারণে আমরা ঠিকমত আইনপ্রয়োগ করতে পারিনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম হোসাইন বলেন, তীব্র যানজটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৌখিক সতর্ক করেছি। গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল থেকে যদি মহাসড়কে কেউ গাড়ি পার্কিং করে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাইওয়ে থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে