কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের কৃষক- ক্ষেতমজুরদের বড় বড় মিছিল ভারতের রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে দিয়েছে। আরো মিছিল এই দুই রাজ্য থেকে দিল্লির দিকে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের মশাল-মিছিল কর্মসূচি চলছে।
আন্দোলনের ৩৭ দিনেও কৃষকদের মনোবল ভাঙতে পারেনি বিজেপি সরকার। বরং কৃষক আন্দোলন ভারতে আরো বড় আকার ধারণ করেছে। এই কনকনে শীতে আন্দোলন করতে গিয়ে ত্রিশের বেশি কৃষক – ক্ষেতমজুর মারা গেছেন। তবুও কৃষক- ক্ষেতমজুরদের অনশন কর্মসূচিকে ভাঙতে পারেনি বিজেপি সরকার। ভারতের এই কৃষক- ক্ষেতমজুরদের একটাই দাবি। আর তাহল , অবিলম্বে জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কৃষি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলনে অনড় ও অটল।
ভারতীয় ডাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি বলেন , রুজি- রোজগারের এটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকার ধর্মীয় বিভাজন পর্যন্ত আনতে চেয়েছিল। কিন্তু কৃষক- ক্ষেতমজুররা অনড়।
এদিকে এই আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ভারতের হিন্দু- মুসলিম- শিখ- খ্রিস্টান ঐক্যবদ্ধ । তারা এই কনকনে শীতে মসজিদ- মন্দির- গির্জা- গুরুদুয়ারগুলি কৃষকদের রাত কাটানোর ব্যবস্থা করেছেন। দিল্লির সাধারণ মানুষ সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে কৃষক- ক্ষেতমজুর আন্দোলন কার্যত চাঙ্গা ।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মশাল মিছিলের পর নতুন বছরে এখানকার কৃষক- ক্ষেতমজুররা দিল্লি অভিমুখে মিছিল করবেন। সব মিলিয়ে ভারতে কৃষক- ক্ষেতমজুর বিদ্রোহ অটল।
খুলনা গেজেট/এনএম