বিশ্বে করোনা মহামারিকালে গত বছর নব্য ধনকুবেরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেই সঙ্গে প্রকট হয়েছে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য। নতুন করে ২৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে।
উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে ২০২০ সালে অস্থির পরিস্থিতিকে কাছে লাগিয়ে নব্য বিলিয়নেয়ার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন কমপক্ষে ৫৭৩ জন। এদের নিয়ে বিশ্বে মোট বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৬৮ জনে।
মহামারির সুযোগে নিজেদের সম্পদ আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে বিলিয়নেয়ার ক্লাবে যোগ দেয়া এই ধনীরা।
সেই সঙ্গে ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে ৪২ শতাংশ, যা ৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান। এখন বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
অক্সফামের ইনইকুয়ালিটি পলিসির প্রধান ম্যাক্স লসোন বলেন, ‘বিলিয়নেয়ারদের সম্পদের এই উল্লম্ফন হয়েছে করোনা মহামারির প্রথম বছরে। এর পরের বছর ২০২১ সালে ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে খুব কম।
‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত অল্প সময়ে সম্পদশালীদের এত বেশি সম্পদ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে এত দ্রুত এত বেশিসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেনি।’
বৈষম্য কেন তীব্র
করোনাকালে বিশ্বব্যাপী কোটি মানুষ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাবার চড়াদামে কিনতে হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখনই বড় বড় কোম্পানি ও তাদের মালিকরা মুনাফা করেছে কয়েক গুণ বেশি হারে।
গত দুই বছরে খাদ্য ও কৃষিপণ্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। তাদের মোট সম্পদ বেড়েছে ৩৮২ বিলিয়ন ডলার।
সেই সঙ্গে জ্বালানি, গ্যাস ও কয়লার সঙ্গে জড়িত বিলিয়নিয়ারদের সম্পদে ২০২০ সালে উল্লম্ফন হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৪ শতাংশ।
ওষুধ শিল্পমালিকদের মধ্যে নব্য বিলিয়নেয়ার হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন।