খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি, ইবি ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

ইবি প্রতিনিধি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে ছাপানোর পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরে ব্যাঙ্গাত্নক স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। অভিযু্ক্ত সাইফুল্লাহ আল হাদী আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত শনিবার বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির এক জরুরী সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ওই ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।

এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করতে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এতে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সরওয়ার মোর্শেদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন- আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তাক আলী এবং ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে কমিটিকে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে ছাপানোর পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা, পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র জমজম কূপকে ‘তথাকথিত’ বলে তাচ্ছিল্য করে স্ট্যাটাস দেন ওই ছাত্র। পরে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে ফেলে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফের স্ট্যাটাস দেন ওই ছাত্র।

এদিকে এ ঘটনায় ওই ছাত্রের সহপাঠীরাসহ অন্য শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তোলে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।

এর আগেও তিনি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিভিন্ন পোস্ট ও বিরূপ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঈদের কোরবানীকে ধর্মের নামে অন্ধবিশ্বাসে প্রকাশ্য বলিদান ও রক্তারক্তির খেলা বলেও কটূক্তি করে তিনি। তার বিভিন্ন পোস্টে বিতর্কের জন্ম দিলেই পোস্ট সরিয়ে নিতেন ওই শিক্ষার্থী।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!