পাকিস্তানের একটি আদালত মহানবী (সা.)-কে অবমাননার দায়ে এক মুসলিম নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ওই নারীর বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি শেয়ার করে মহানবী (সা.) ও তার এক স্ত্রীকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। বুধবার রাওয়ালপিন্ডির এক আদালত এই রায় দেয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নারীর নাম আনীকা আতিক। পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননার কঠোর আইনে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়। এই আইনে মহানবী (সা.)-কে অবমাননাকারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রায়ে বিচারক আদনান মুশতাক লিখেছেন, অভিযুক্ত নারী তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ও বার্তায় যে ক্যারিকেচার পাঠিয়েছেন অভিযোগকারীর কাছে তা একজন মুসলিমের জন্য একেবারে সহনীয় নয়।
২০২০ সালের মে মাসে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ২৬ বছর বয়সী আনীকা আতিক বিচারে দোষ স্বীকার করেননি।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে আনীকা জানিয়েছেন, অভিযোগকারী হাসনাত ফারুক ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ধর্ম নিয়ে আলোচনায় জড়িয়েছেন ফাঁদে ফেলার জন্য। তার প্রতি বন্ধু সুলভ হতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই কাজ করেন ফারুক।
একটি জনপ্রিয় অনলাইন গেমে তাদের পরিচয় হয় এবং পরে তারা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ চালিয়ে যান।
আনীকার মৃত্যুদণ্ড লাহোর হাইকোর্ট দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এই আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে আনীকার।
খুলনা গেজেট/ এস আই