মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার উদ্যোগে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
রোববার (১২ জুন) সকালে ৩ ঘন্টা ধরে চলা এ কর্মসূচীতে হাজার হাজার মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন।সাধারন মুসর্লীরাও এতে যোগ দেন।
মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মাওলানা ফরিদ আহম্মেদ, মাওলানা জিন্নাত আলি, মুফতি মোঃ মঈন উদ্দিন, মুফতি হাফিজুর রহমান, মুফতি নুরুল ইসলাম, মুফতি মহিবুল ইসলাম, মাওঃ গাউসুর রহমান,হজরত মাওলানা সামসুল হক সাহেবসহ ৩০/৪০ জন মুসল্লী বক্তব্য রাখেন।
গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মসূচী। সকাল ১০টায় কর্মসূচী শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টা থেকে কর্মসূচী চালু হয়ে যায়।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মুসল্লী মিছিল সহকারে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেন।প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের বড়বাজার এলাকা থেকে পাঁচুড়িয়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা পুরোপুরি মুসল্লিদের দখলে ছিল।
এসময় অসংখ্য মুসল্লী সমাবেশে বক্তব্য দেন।বক্তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদ জানান এবং তাদের শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি ভারতীয় পন্য বর্জনেরও দাবী জানান তারা।পরে দোষী বিজেপি নেতার কুশ পুত্তলিকা দাহ করা হয়। অনুরুপ কর্মসূচী জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় বাবু দাশ গুপ্ত (৪০) নামে এক ব্যাক্তি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি করলে উপজেলা সদরে তার শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাবু দাশ গুপ্ত উপজেলার ডহর পাড়া গ্রামের শুনীল দাশ গুপ্তের ছেলে। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানা পুলিশ বাবু দাশ গুপ্তের ভাই সুমান দাশ গুপ্তকে আটক করেছেন।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, কোটালীপাড়ার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবু দাশ গুপ্তের ভাই সুমান দাশ গুপ্তকে আটক করেছি।