ঘটনার দশ দিন পর নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ। হেট স্পিচ ছড়ানোর দায়ে দিল্লি পুলিশ মামলা করেছে নবীন জিন্দাল, সাংবাদিক সবা নাকভী, শাবাব চৌহান, মৌলনা মুফতি নাদিম, আব্দুর নাহবাজ, গুলজার আনসারী, অনিল কুমার মিনা ও পূজা সাকুনের নামে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি, কিন্তু বিরোধী রাজনীতিকরা বলছেন নুপুর শর্মার মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি এতটাই রুষ্ট হয়েছে যে বাণিজ্য হারানোর আশংকায় ভারত এখন প্রো একটিভ হওয়ার চেষ্টা করছে।
পশ্চিম এশিয়ার ছয় টি দেশ গালফ কর্পোরেশন কাউন্সিল দ্বারা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই ছয় টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ভারতের বার্ষিক আয় আট হাজার সাতশো কোটি মার্কিন ডলার। এই ছয় টি দেশে ভারতীয় কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৮৫ লক্ষ। এরা বছরে তিন হাজার পয়ত্রিশ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়ে থাকে দেশে। অর্থাৎ, প্রায় চার কোটি ভারতীয় প্রতিপালিত হয় এই অর্থে। ভারতের প্রাকৃতিক গ্যাস এর ৪০ শতাংশ আসে কাতার থেকে। এই অবস্থায় নুপুর শর্মার একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যদি এই অবস্থা হয় তাই ভীত কেন্দ্রীয় সরকার প্রো একটিভনেস দেখাচ্ছে। বিরোধীরা এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেছে।
অভিযোগ করেছে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে হিন্দু ভোট হারানোর ভয়েই মোদি একদম স্পিকটি নট।
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত কিন্তু নুপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহাদেব শিব কে নিয়ে অবমাননাকর উক্তির প্রেক্ষিতেই নুপুর ওই মন্তব্য করেছেন। ভারত আফগানিস্তান নয়। এখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর করলেও লাগাতার খুন ও ধর্ষণের হুমকি পাওয়ার প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ নুপুরের জন্যে দেহরক্ষী ধার্য করেছে।