খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে (৩০ অক্টোবর থেকে ০৫ নভেম্বর) পর্যন্ত মহানগরীতে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক শনিবার সকালে খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় কেসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, সুস্থ-সবল জাতি গঠনে শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা অনেক গুরুত্ববহ। শিশু স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের পাশাপাশি এ বিষয়ে অভিভাবকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ক্ষতিকর কৃমির কারণে শিশুদের শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে তাদের লেখাপড়ায়ও বিঘ্ন ঘটে। সিটি মেয়র শ্রেণিকক্ষে শিশুদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়ে সচেতন করে তুলতে শিক্ষকদের এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আবহান জানান। এছাড়া জাতীয় এ কর্মসূচি থেকে একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
কেসিসি’র কাউন্সিলর মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদ-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পারভীন আক্তার। কাউন্সিলর মো: মনিরুজ্জামান, মো: ডালিম হাওলাদার, শেখ মোহাম্মদ আলী, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা খাতুন, সাহিদা বেগম, রেকসনা কালাম লিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: আজমুল হক, স্বাস্থ্য বিভাগের উপপরিচালক ডা. মনজুর মোরশেদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. একেএম আব্দুল্লাহ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে নগরীর ৪৯৮টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ৯৩ হাজার ৮’শ ৭২ জন এবং ৯৩ টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৫৫ হাজার ৮’শ ৯৮জন শিক্ষার্থীকে ১টি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই