সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবকদের ইউক্রেনে এসে যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। পশ্চিমী বিশ্ব এত দিন সিরিয়া তথা মধ্য পূর্বের দেশগুলির রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যাতে জড়িয়ে না পড়তে পারে, সেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে মস্কোর আহ্বান, পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিভের দিকে এক পা, এক পা করে ক্রমশ এগোচ্ছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ইউক্রেনের অন্যান্য শহরেও চলছে লাগাতার বোমা বর্ষণ ও শেল হামলা। রোজই বাড়ছে হামলার তীব্রতা। রাশিয়ার হামলায় প্রতি দিনই মৃত্যু হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন দাবি করল, একটি মসজিদে রাশিয়ার শেল হামলায় ৮০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক মহিলা ও শিশুও। ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মারিয়োপোলের সুলতান সুলেমান মসজিদে রুশ হামলা হয়েছে।
ইউক্রেনের দাবি, রুশ হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে মারিয়োপোলে ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৮০ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহিলা ও শিশুরাও। ইউক্রেন সরকারের দাবি, মূলত ওই এলাকায় বসবাসকারী তুরস্কের পরিবারগুলি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিল। কারণ, যুদ্ধের সময় মসজিদের মতো ধর্মীয় স্থল কিংবা স্কুল, হাসপাতালে হামলা না চালানোই আন্তর্জাতিক দস্তুর। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া সব জেনেও ওই মসজিদে হামলা চালায়।
পোল্যান্ড থেকে বায়ুসেনার বিমানে পোষ্য ওরিওকে নিয়ে দেশে ফিরলেন নীলিমা
অন্য দিকে, ইউক্রেনের আশঙ্কা, কিভ, খারকিভ এবং ডনবাস এলাকায় হামলা আরও তীব্র করার পথে চলেছে মস্কো। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের দক্ষিণাংশের মেলিটোপোলে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী। সেই শহরের মেয়রকেও অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের সংসদের। অন্তত দশ জন সশস্ত্র ব্যক্তি মেলিটোপোলের মেয়র ইভান ফেডেরোভকে অপহরণ করে নিয়েছে।
সূত্রের খবর, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবকদের ইউক্রেনে এসে যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। পশ্চিমী বিশ্ব এত দিন সিরিয়া তথা মধ্য পূর্বের দেশগুলি যাতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে, সেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে মস্কোর আহ্বান, পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, রুশ বাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থনে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ছিল সিরিয়া। স্বভাবতই এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ডাক উপেক্ষা করা তাঁদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে।
২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২৫ লক্ষ মানুষকে ঘর ছাড়া হতে হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, রুশ হামলায় ৫৬৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৪১টি শিশু।