নারায়ণগঞ্জে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও দুই মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন নজরুল ইসলাম ও শেখ ফরিদ। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়াল। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শেখ ফরিদ (২১) কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চড়ালদী গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। মা খোদেজা খাতুন। তিনি গফরগাঁও সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর অর্নাসের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি, নারায়ণগঞ্জের ডিসি অফিসে মাস্টার রোলে চাকরি করতো। তারা বাবা কৃষি কাজ করেন। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন।
নিহতের বাবা এমদাদুল হক বলেন, ‘এ মাসের ১৩ তারিখে তার চাকরি স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল। ঘটনার পর আহত থাকাবস্থায় বলেছিল ‘বাবা আমার কিছু হবে না। চিন্তা করো না’। আজ লাইফ সাপোর্ট নেয়ার আগে আমার সঙ্গে তার শেষ কথা ছিল- আমি তো আর বাঁচবো না, বাবা আর বাঁচবো না’।
এদিকে নিহত নজরুল ইসলাম (৫০) নামের এক পাট শ্রমিকের শরীর ৯৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার পিতার নাম মো. আব্দুর রাজ্জাক। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়। তিনি স্ত্রী দুই ছেলে এক মেয়ে জনক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার তল্লা চামারবাড়ি বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো পানি জমার পর সেখান থেকে তিতাস গ্যাসলাইনে লিকেজ পাওয়া যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মসজিদের সামনে গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনার পর রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে সংকটাপন্ন ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ মারা গেছে। আইসিইউতে আছেন ৫ জন। আর মাত্র একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
খুলনা গেজেট/এমআর