নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে আরও ১০ জন মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটি সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকালই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ বছরের এক শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনের মৃত্যু হলো। এখনও যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় প্রায় সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ হন। অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা অন্যান্য চিকিৎসকরাও যোগ দিয়েছেন দগ্ধদের চিকিৎসায়। প্রায় সবার শরীরের ৩৫ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, মসজিদের নীচ থেকে তিতাস গ্যাসের লাইন ছিলো। সেখান থেকে কোন একটি পাইপের লিকেজ সৃষ্টি হওয়ার ফলে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এছাড়া শুধু মসজিদেই নয়, বিস্ফোরণের কাছাকাছি যারা ছিলো তারাও দগ্ধ হয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌনে ৯টায় মসজিদের ভেতরে থাকা এসির বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের অনেকেই দগ্ধ ও আহত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন